শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
দিদার এলাহী সাজু, নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট সমাজ সেবায় শিশু হত্যা ঘটনার পর আবারো এক যুবতীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি জানা-জানি হবার পর শুরু হয়েছে তোলপাড়। পাশাপাশি একের পর এক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
জানা যায়, সিলেট বাগবাড়িস্থ সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীন প্রতিষ্ঠান “ছোটমনি নিবাসে” গত ২২ জুলাই নির্মমভাবে খুন হয় ২ মাসের এক শিশু। গত ১০ আগষ্ট ঘটনাটি জানা-জানি হলে এ নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। এ ঘটনার পর গত ১১ আগষ্ট সকালে সিলেটের খাদিম পাড়াস্থ একই অধিদপ্তরের “সামাজিক প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রে” সুমি আক্তার (২২) নামে আরেক যুবতীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তার বাড়ী সিলেটের বিয়ানী বাজার উপজেলায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার শাহপরান থানার ওসি সৈযদ আনিসুল হক। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিবেন তিনি।”
এ ব্যাপারে সামাজিক প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক লুৎফুর রহমান দাবি করেন, সুমি আক্তার আত্মহত্যা করছে। পরে পরিবারের সম্মতিতে তাকে শহরের মানিক পীর টিলায় তাকে দাফন করা হয়। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।অনেকে মনে করেন, কর্তৃপক্ষ হয়তো বিষয়টি এতদিন গোপন করে রেখেছিলেন।
উল্লেখ্য, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সিলেট শিশু সদন ‘ছোটমণি নিবাসে’ নাবিল আহমেদ নামে দুই মাসের এক শিশুকে আছাড় মেরে হত্যা করে এক নারী কর্মচারী। গত ২২ জুলাই রাতে ওই শিশু সদনে এ নির্মম ঘটনাটি ঘটে। পরে শিশু সদন কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হত্যাকারী ওই নারী কর্মচারীকে শনাক্ত ও আটক করে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ “ছোটমণি নিবাসে” অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী ওই নারীকে আটক করেন।
আটক ওই নারী কর্মচারীর নাম সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকা (৪৫)। তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায়।